আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো সর্বোচ্চ শুক্রাণুর(Sperm) সংখ্যা থাকে কোন বয়সে তা নিয়ে। শুক্রাণু হলো পুংজননকোষ বা গ্যামেট যা যৌন জননের অ্যানাইসোগ্যামি প্রকারে দেখা যায় (যে প্রকারের জননে পুং গ্যামেট আকারে ছোটো কিন্তু সক্রিয় এবং স্ত্রী গ্যামেট আকারে বড়ো কিন্তু নিস্ক্রিয় হয়)। প্রাণীরা স্পার্মাটোজোয়া নামক চলনশীল শুক্রাণু তৈরি করে যার সাথে ফ্ল্যাজেলাম নামক একটি লেজ থাকে। গবেষণা বলছে, গত ৪০ বছর ধরে ক্রমাগত কমেছে পুরুষদের শুক্রাণুর(Sperm) সংখ্যা। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন ঘটছে তা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা। ধূমপান(Smoking), মদ্যপান থেকে পরিবেশ দূষণ, এত দিন শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাসের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করতেন গবেষকরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল স্থূলতার সমস্যাও।
সর্বোচ্চ শুক্রাণুর সংখ্যা থাকে কোন বয়সে
আমেরিকার ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেশকের দাবি, স্থূলতার সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর সংখ্যা। বিশেষত চল্লিশ বছরের পর বাড়তে থাকে এই সমস্যা। আর ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রবল এই সমস্যা। ১৭ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত শুক্রাণুর সংখ্যা সর্বোচ্চ থাকে বলেও দাবি গবেষকদের।
এই গবেষণাটিতে প্রায় ৪০ হাজার শুক্রাশয়ের কোষ পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা। শুক্রাশয়ের কোষের(Cell) থেকে প্রাপ্ত জিনগত উপাদান আরএনএ পরীক্ষা করে দেখা হয় যে সেই কোষগুলো শুক্রাণু(Sperm) উৎপাদনে কতটা সক্ষম।
গবেষণার ফল বলছে, যাদের ‘বডি মাস ইন্ডেক্স’ বা ‘বিএমআই’ ৩০ বার তার বেশি তাদের ক্ষেত্রে ব্যাহত হয়েছে শুক্রাণুর উৎপাদন। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, স্থূলতা কমিয়ে দিতে পারে যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ। ফলে ব্যাহত হতে পারে শুক্রাণু উৎপাদন। তবে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত তাদের।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।