Home / ত্বকের যত্ন / ব্রণ কি এবং কেন হয় জেনে নিন

ব্রণ কি এবং কেন হয় জেনে নিন

আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ব্রণ কি এবং কেন হয় সে সব কথা নিয়ে। ব্রণ আমাদের নিকট খুবই পরিচিত একটি শব্দ। পৃথিবীর সকল মানুষ কোনো না কোনো এক সময় এই ব্রণ সমস্যায় দীর্ঘদিন জর্জরিত ছিল। ব্রণ শব্দটি খুবই বিরক্তকর ও বাজে বিষয় কিশোর কিশোরী উভয়ের কাছে। এটির প্রধান কারণ হচ্ছে চেহারার উজ্জলতা কে নষ্ট করে দেয়া। প্রত্যেকটি মানুষের একটি গৌরবের বিষয় তার চেহারার উজ্জলতাকে নিয়ে।ব্রণ কি এবং কেন হয় জেনে নিন

ব্রণ কি এবং কেন হয় জেনে নিন

সাধারণত বলতে গেলে ব্রণ কোন মারাত্মক ব্যাধি না। তবে সারা বিশ্বে কিশোর-কিশোরীদের(acne is one of the major problems of teenager) ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত পানি কম খাওয়া, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি জনিত কারণে ব্রণ(acne) হয়ে থাকে। এটা মারাত্মক না হলে ও ব্রণের কারণে (pimple cause)আমাদের চেহারায় কালো কালো দাগ সহ ছোট ছোট ছিদ্র হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের চেহারার উজ্জলতা নষ্ট করে চেহারা দেখতে কুৎসিত লাগে। ব্রণ হচ্ছে আমাদের ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। সাধারণতঃ এটি মুখ-মন্ডল, মাথা, ঘাড় ও পিঠ সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হয়ে থাকে। তবে এটি মুখমন্ডলে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

বয়সন্ধি কালে শরিলে টেস্টরন হরমোন পরিবর্তন হওয়ার কারণে ব্রণ সমস্যা(acne problems) হয়ে থাকে। ব্রণ এর ইংরেজি শব্দ হচ্ছে পিম্পল বা অ্যাকনি। বিশেষত শতকরা ৯০% মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে ১৩ থেকে ১৯ বছর লোকের এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়াও কিছু কিছু পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৫ থেকে ৩০ বছরের লোকদের এই রোগ হয়ে থাকে। তবে এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি না। এরপরও সারা পৃথিবীর একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ব্রণ সমস্যাজনিত কারণে (acne problems)শতকরা ৭% লোক আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার প্রধান কারণ হচ্ছে ব্রণ(acne)। ব্রণ হলে চেহারার লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে সমাজের নানা মানুষ নানা রকম মন্তব্য করে এবং অপমান করে থাকে। কোন অনুষ্ঠানে বা নিকটাত্মীয় এর নিকট অথবা বন্ধু বান্ধবীদের সাথে চলাফেরা করা যায় না। এটি একটি অপমান জনিত কারণ। ব্রণ সমস্যা আত্মবিশ্বাস কে নষ্ট করে দেয়। যার ফলে মানুষ এক সময় মৃত্যুর পর বেছে নেয়।

ব্রণ(acne) কত প্রকার ও কি কি?

ব্রণ সমস্যা(acne on stomach) প্রধানত পাঁচ প্রকার। যথা,

১। ট্রপিক্যাল একনি।

এটি সাধারণত গরমকালে ও বাতাসের আদ্রতা বেশি হলে পিঠের নানা অংশে এবং উরুতে হয়ে থাকে।

২। প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি।

প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি মহিলাদের মাসিকের সময় অথবা মাসিকের ২ থেকে ৩ দিন আগে হাতের তালু সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে হয়ে থাকে।

৩।একনি কসমেটিকা।

একনি কসমেটিকা ব্রণ যখন কোন মানুষ বিভিন্ন রকম প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে দীর্ঘদিন ধরে তখন সেই প্রসাধনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ফলে মুখে ও শরীরে যে ব্রণ সৃষ্টি হয় তাকে একমি কসমেটিকা ব্রণ বলে। তাই আমাদের মুখমন্ডল(face) পরিষ্কার করার জন্য যে সকল প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি সেই সকল প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে সেই প্রসাধনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

৪। একনি ডিটারজিনেকস।

সাবানের মাধ্যমে এই ব্রণ হয়ে থাকে। কারণ সাবানে রয়েছে ক্ষার জাতীয় এসিড পদার্থ যা অতিরিক্ত শরীরের মুখমন্ডলে ব্যবহার করলে যে ব্রণ দেখা যায় তাকে একনি ডিটারজিনেকস বলে।

৫।স্টেরয়েড একনি।

যা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবনে হতে পারে। এ ঔষুধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারের ফলে ব্রণের পরিমান আরও বেড়ে যেতে পারে ।

ব্রণের উপসর্গ কি?

১। এটি ত্বকে যখন দেখা দেয় তখন লাল লাল দাগ হয়ে থাকে এবং অনেক ব্যথা হয় আবার অনেকটা ব্যথা থাকে না।

২। চামড়া ফুলে যায়।

৩। ফুলে যাওয়া অংশের নিচে তরল পদার্থ থাকে।

৪। কোন ছিদ্র বুঝা যায় না।

৫। ফুলে যাওয়ার ভিতরে পুজ স্পষ্ট দেখা যায়।

ব্রণ সমস্যা হওয়ার কারণ(dandruff causes pimples):-

বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞান আজও পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার মূল কারন(case) খুঁজে পায়নি। তবে তারা ধারণা করে ব্রণ সমস্যা (acne skin problem)বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে প্রধান কারন হচ্ছে বয়সন্ধিকাল(adolescence)। বয়সন্ধিকাল(adolescence)এমন একটি সময় যা মানুষের শরীরে টেস্টরন হরমোন বৃদ্ধির ধারা নানা পরিবর্তন করে থাকে। এছাড়া ঠিকমতো ঘুমানোর অভাব বংশগত কারণ হরমোন জনিত কারণ ইত্যাদির জন্য ব্রণ হয়ে থাকে।বয়ঃসন্ধিকালে হরমোন টেস্ট্রোরেন ও প্রোজেস্ট্রোরেনের প্রভাবে ত্বকের সিবেসিয়াস গ্রন্থি অধিক হারে তেল নিঃসরণ শুরু করে। এই তেল বেরিয়ে আসার পথটি ক্রটিযুক্ত থাকায় তেল গ্রন্থির ভিতরে জমতে শুরু করে। এক সময় গ্রন্থিটা ফেটে যায় এবং তেল আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। তখন, ব্যাকটেরিয়া তেলকে ভেঙে টিস্যুতে ফ্যাটি এসিড উৎপাদন করে। এই ফ্যাটি এসিড ত্বকের ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, ফলে চামড়ার মধ্যে দানার সৃষ্টি হয়। এটাই ব্রণ নামে পরিচিত। সাধারনত গলা, বুকে ও পিঠের উপরিভাগ, হাতের উপরিভাগে এবং বিশেষ করে মুখমন্ডলে এই রোগটা বেশি হয়। এসব জায়গায় ছোট ছোট দানা, ফোড়া, সিস্ট অথবা নোডিউল হতে পারে।

কোন বয়সের লোকদের বেশি ব্রণ সমস্যায়(acne problem on face)আক্রান্ত হয়ঃ-

সাধারণত বয়সন্ধিকালে(adolescence) এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও কমবেশি এই সমস্যায় সকলেই পরিচিত। ১৩ থেকে ১৯ বছর ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যে এ রোগটি দেখা দেয়। তবে ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে আস্তে আস্তে কমতে থাকে। মূলত এই রোগটি মানুষের শরীরের গঠন প্রণালী হরমোনজনিত কারণে একেক মানুষের একেক সময় হয়ে থাকে। কারও ১৩ থেকে ১৯ এর মধ্যে আবার কারও বা ২০ থেকে ৩০। তবে কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের উপরে এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

No comments to show.