আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ঘরোয়া উপায়ে ফ্যাটি লিভারের সমাধান নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কে। বর্তমানে অল্প বয়সের তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে যে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে তা হলো ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। তবে আপনি চাইলে ঘরে বসেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
ঘরোয়া উপায়ে ফ্যাটি লিভারের সমাধান
লিভার বা যকৃত আমাদের পাচন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গটি আমাদের শরীরে(Body) খাদ্য হজমে(Digestion) সাহায্য করে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। কিন্তু ফ্যাটি লিভারে এ কাজ অনেকটাই বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম এই রোগটি বৃদ্ধি পাওয়ার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি লিভারের ওজনের ৫ থেকে ১০ শতাংশ ফ্যাট জমে তা হলে এই অবস্থা লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারের আকার নিতে শুরু করে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিতে অনেকটা সময় লেগে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের ওপরের ও মাঝের দিকে যন্ত্রণা, বমিভাব, ক্লান্তিবোধ, খিদে কমে আসা, মনঃসংযোগের অভাব, সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব হতে দেখা যায়।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিনের ডায়েটে দুপুরের খাবারের পর তেঁতুলের জুস রাখতে পারেন। কারণ তেঁতুলে রয়েছে খনিজ(Minerals), ভিটামিন ও ডায়েটারি ফাইবারের মতো পুষ্টি(Nutrition) উপাদান। এ ছাড়া এই খাবারটি হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, মিউকাস ও ট্যানিনের উৎস হওয়ায় তেঁতুল লিভারকে টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করে।
এক গ্লাস জুসে ৩ চা চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, এক চিমটি বিট লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, ১ চা চামচ মধু, ১/৪ চা চামচ পুদিনা পাতার পেস্ট, লবণ(Salt) পরিমাণমতো দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন তেঁতুলের জুস। নিয়মিত এই জুস পান করার অভ্যাসে আপনার ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
শুধু তাই নয়, তেঁতুল কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিনে ভরপুর। তাই ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি হ্রাস করার পাশাপাশি এই খাবার শরীরের(Body) রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সহায়তা করে।
এই অভ্যাসেরে পাশাপাশি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, লাল চাল, লাল আটা, ওটস, রঙিন শাকসবজি(Vegetables), ফলমূল, গ্রিন টি, আখরোট ইত্যাদি। ফ্যাটি লিভার এড়াতে তেল, ঝাল, মিষ্টি, ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। সেই সঙ্গে ওমেগা-৩ পেতে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন, সার্ডাইনস, টুনা এবং ট্রাউটের মতো ফ্যাটযুক্ত মাছ খান।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।