আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো রোগ(Disease) প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পটল সে সব কথা নিয়ে। স্বাদের কারণে অনেকেই পটল খেতে পছন্দ করেন। এটা রান্না, ভাজি, ভর্তা-সবভাবেই খাওয়া যায়। শুধু স্বাদ নয়, ভিটামিন(Vitamins) ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ পটল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি সবজি(Vegetables)।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পটল
পটল ওজন(Weight) কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার প্রবণতাও কমায়। এই সবজি খেলে আরও যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে : পটলের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য(Health) ভাল রাখতে পারে। এ কারণে নিয়মিত এই সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে : পটলের বেশ ভাল পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি এক দিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের ক্রিয়া থেকে দেহকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে ঋতু বদলের সময়ে হওয়া সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করতে কাজে আসতে পারে পটল। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে : পটলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা হজম(Digestion) হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। আবার একশো গ্রাম পটলে মাত্র ২০ ক্যালরি থাকে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন ও বুঝতে পারছেন না কোন খাবার খাওয়া উচিত তাদের জন্য পটল একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমাতে : পটল রক্তে(Blood) খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিণ্ড ভাল থাকে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : পটল ও পটলের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান, কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার(Sugar) পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।