সৌন্দর্যের সঙ্গে গোলাপের সম্পর্ক আদিম যুগ(Primitive age) থেকেই প্রচলিত। আর এই গরমে নিমেষে তরতাজা হয়ে উঠতে গোলাপজলের এক ঝলক হালকা মিষ্টি সুগন্ধই(Fragrance) যথেষ্ট! ত্বকের যত্নেও গোলাপজলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। ফেস মাস্কের উপাদান হিসেবে, টোনার বা ফেস মিস্ট হিসেবে গোলাপজল ত্বককে(Skin) স্নিগ্ধ, আর্দ্র আর সতেজ রাখে। তা ছাড়া টেনশন কাটিয়ে মন হালকা করতেও জুড়ি নেই গোলাপজলের সুবাসের। দেখে নিন আপনার রূপচর্চার কাজে কী কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল। আজ আপনাদের জানাবো ত্বকের যত্নে গোলাপজলের ব্যবহার সম্পর্কে।
ত্বকের যত্নে গোলাপজলের ব্যবহার
মাস্ক লাগানোর আগে
মুখে ঘরোয়া ফেসপ্যাক লাগানোর আগে তুলোয় করে গোলাপজল নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ত্বক আগে থেকে পরিষ্কার করে নেবেন। মুখে গোলাপজল লাগানোর পরে ফেসপ্যাক লাগান। তাতে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা বাড়বে, গোলাপজলও ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বক আর্দ্র রাখবে।
টোনার হিসেবে গোলাপজল
কেমিক্যালে ভরা টোনারের চেয়ে গোলাপজল অনেক বেশি লোভনীয় অপশন। গোলাপজলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বক স্নিগ্ধ করে, ত্বকের(Skin) জ্বালাভাব, র্যাশ কমায়। তুলোয় করে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন, ত্বক ঠান্ডা হয়ে যাবে নিমেষে।
কাটাছেঁড়া, র্যাশ কমাতে
গোলাপজলের মধ্যে হালকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাই হাত-পা শেভ করতে গিয়ে কেটে গেলে বা কোথাও দানা দানা র্যাশ বেরোলে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখুন গোলাপজলের উপরে। তুলোয় করে লাগিয়ে নিন জায়গাটায়, ব্যস, নিশ্চিন্ত!
শুষ্ক ত্বকের সমস্যায়
আপনার ত্বক কি খুব রুক্ষ আর শুকনো? তা হলে প্রতিবার ময়শ্চারাইজার মাখার আগে আপনার দরকার গোলাপজল। স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে রাখুন। স্নানের পর আগে সারা শরীরে(Body) স্প্রে করে নিন, তারপর সঙ্গে সঙ্গে ময়শ্চারাইজার মেখে ফেলুন। গোলাপজল ময়শ্চারাইজারের আর্দ্রতা ত্বকের গভীরে ঢুকতে সাহায্য করবে।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।