আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ইউরিক এসিড কমানোর উপায় নিয়ে। দেহে পিউরিনের ভাঙ্গন ইউরিক এসিড তৈরি হয়। পিউরিন খাবারে(Food) পাওয়া যায় এবং শরীরের(Body) দ্বারা প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়। এটি রক্ত(Blood) প্রবাহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কিডনিতে পৌঁছে যায়। যদিও ইউরিক এসিড ইউরিনের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কখনো কখনো এটি শরীরে থেকে যায় এবং এর পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। যার ফলে শরীরের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ইউরিক এসিড কমানোর উপায়
বেশি পরিমাণে ইউরিক এসিড স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক। এটি আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। সুতরাং ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের প্রয়োজন। কিছু প্রাকৃতিক(Natural) উপাদানের দ্বারা আমরা ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারি। চলুন না তাহলে আজ জেনে নিই কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করে এবং এই এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে কোন কোন জিনিসের থেকে দূরে থাকা উচিত।
শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণঃ
পায়ে ব্যথা(Pain) অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি জোড়ায় ব্যথা।
গোড়ালিতে ব্যথা অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে ফোলাভাব। ব্যথা অনেক সময় অতিরিক্ত এবং অসহনীয় হতে পারে।
চিনির স্তর বৃদ্ধি ইউরিক এসিড অন্যতম লক্ষণ।
প্রাকৃতিক উপায়ে ইউরিক এসিড কম করার উপায়ঃ
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ইউরিক এসিডের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে।বেকিং সোডার এই মিশ্রণটি ইউরিক এসিড স্ফটিকগুলিকে দ্রবীভূত করতে এবং ইউরিক এসিড দ্রবণীয়তা বাড়াতে সহায়তা করে। তবে এটি রক্তচাপকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই রক্তচাপ(Blood pressure) রোগীদের এটি ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ইউরিক এসিড কমানোর জন্য এক গ্লাস জলে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এটি ভালভাবে মিশ্রিত করুন এবং এটির আট গ্লাস নিয়মিত পান করুন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।
আপেল সাইডার ভিনিগারে
আপেল সাইডার ভিনিগারে ম্যালিক এসিড রয়েছে যা দেহ থেকে ইউরিক এসিডকে ভেঙে ফেলা এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও আপেল সাইডার ভিনিগারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা শরীর থেকে ইউরিক এসিড হ্রাসে সহায়ক। এক গ্লাস জলে এক চা চামচ জলে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
আপনি শরীরকে হাইড্রেটেড(Hydrated) রেখে ইউরিক এসিডের স্তর হ্রাস করতে পারেন। দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি উপস্থিতে ইউরিক এসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে পানি(Water) খাওয়া প্রয়োজন।
খাবারে অলিভ অয়েল যোগ করুন
অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি। আপনি আপনার খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করার মাধ্যমে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে অলিভ অয়েলে পাওয়া যায় যা ইউরিক এসিডের মাত্রা হ্রাসে সহায়ক।
জোয়ান
জোয়ান ইউরিক এসিড হ্রাস করার জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি কারণ এটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এটি রক্তে(Blood) ক্ষারীয় স্তর নিয়ন্ত্রণ করে প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে।
ইউরিক এসিড করার জন্য যেসমস্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবেঃ
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুনঃ
টুনা, সালমন ইত্যাদি জাতীয় মাছ ওমেগা -3 ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। সুতরাং, ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পেলে এই মাছগুলি খাওয়া এড়ানো উচিত। এছাড়াও মাছগুলিতে পিউরিন বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। পিউরিন শরীরে(Body) আরও বেশি ইউরিক এসিড তৈরি করে।
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন
শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার এড়ানো উচিত। কিডনির সমস্যায় পিউরিন সমৃদ্ধ খাবারগুলি শরীরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড সংরক্ষণ করে। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন রেড মিট, আরগান মিট, সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদি।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল বন্ধ করুন
অ্যালকোহল আপনার শরীরকে হাইড্র্রেট করে তাই পিউরিন সমৃদ্ধ খাবারগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ করা এড়ানো উচিত। বিয়ার এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে
কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।